ঘুরে আসুন বাংলাদেশের সবচেয়ে সৌন্দর্যের শহর যশোর
সবুজ- শ্যমলে রুপায়িত দেশ বাংলাদেশ। শুদ্ধ বাতাস, আথিতিয়েতায় পূর্ন দেশ বাংলাদেশ যার মধ্যে যশোরের মানুষের আতিথিয়েতা মুগ্ধ হবেন দর্শনার্থীরা। এখানে রয়েছে অসংখ্য ভ্রমন স্পট। যা দেখে আপনার চোখ জুড়িয়ে যাবে।
বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীন শহর বাংলাদেশ। প্রথম ডিজিটাল শহরও এই বাংলাদেশ।
যা যা দেখতে পাবেন ও কিভাবে যাবেন যশোরের সকল দর্শনীয় স্থানে
ঝাপা বাওড়:
যশোরের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে মন মাতানো ঝাপা বাওড় রয়েছে যা দর্শনার্থীরা মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করেন । মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ হতে রাজগঞ্জ বাজার সংলগ্ন ঝাপা বাওড় ১০ কি:মি: । যশোর পালবাড়ী থেকে রাজগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড হয়ে ২২কিঃমিঃ দক্ষিণে রাজগঞ্জ বাজার সংলগ্ন ঝাপা বাওড়।
খুলনা ও সাতক্ষীর হতে খুলনা-সাতক্ষীরা রোডের চুকনগর নামক স্থান হতে যশোর দিকে ২৬কিঃ মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ। পরিষদ হতে রাজগঞ্জ বাজার সংলগ্ন ঝাপা বাওড় ১০ কি:মি: ।
দমদম পীরের ডিবি:
এখানে দেখতে পারবেন পীরের মাজার। কিভাবে যাবেন এই দমদম পীরের ডিবিতে।সড়ক পথে- ঢাকা থেকে ঢাকা-খুলনা জাতীয় মহাসড়কে যশোর অতিক্রম করে রাজার হাট নামক স্থান হতে সাতক্ষীরা রোডে প্রায় ০৭ কিঃমিঃ মণিরামপুর এর দিকে সড়ক সংলগ্র ভোজগাতী ইউপির অধীন।
মহাকবি মাইকেল মধু সূদন দত্তের বাড়ি:
সড়ক পথে- ঢাকা থেকে ঢাকা-খুলনা জাতীয় মহাসড়কে যশোর অতিক্রম করে রাজার হাট নামক স্থান হতে সাতক্ষীরা রোডে প্রায় ৩৬ কিঃমিঃ কেশবপুর উপজেলা পরিষদ ।
এই পরিষদ হতে কেশবপুর থেকে সাগরদাঁড়ী প্রায় ১৬ কি:মি: অতিক্রম করে মহাকবি মাইকেল মধুসূধন দত্তের পৈত্রিক জন্ম ভূমি। প্রতিবছর এই সাগড়দাঁড়ীতে হয় মাইকেল মেলা।
তুলা বীজ বর্ধন খামার:
যশোরের অন্যতম আর একটি মনোমুগ্ধকর স্থান তুলা বীজ বর্ধন খামার। কিভাবে যাবেন এই তুলাবীজ বর্ধন খামারে? আসুন তাহলে জেনে নিন।
উপজেলা সদর থেকে ভ্যান, রিক্সায় বা ইজিবাইকে যাওয়া যায়। উপজেলা থেকে এই তুলা বীজ বর্ধন খামারের দূরত্ব মাত্র ১০ কি. মি।
খড়িঞ্চা বাওড়:
বাওড়ের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে সবারই খুব ভাল লাগে। ইট পাথরের কঠিন পরিবেশ ছেড়ে প্রকৃতির প্রেমে পড়তে মন চায় প্রতিটা মানুষেরই। এই খড়িঞ্চা বাওড়ে আপনি পাবেন প্রকৃতির সান্নিধ্য।
চৌগাছা উপজেলার সদর হতে ৮ কি.মি দূরে চৌগাছা-পূড়াপাড়া পাকা সড়কের দক্ষিণ পাশে খড়িঞ্চা গ্রামে অবস্হিত এই খড়িঞ্চা বাওড়।
ভরতের দেউল:
কেশবপুর উপজেলা সদর হতে ঊনিশ কি.মি দক্ষিণ-পর্ব দিকে ভদ্রা নদীর তীরে ভরতের দেউলে আপনি পৌঁছাতে পারবেন।
মীর্জানগর হাম্মামখানা:
কেশবপুর হতে ৭ কি.মি. পশ্চিমে কপোতাক্ষী ও বুড়িভদ্রা নদীর সঙ্গমস্থল ত্রিমোহিনী নামক স্থানে এই হাম্মামখানা অবস্থিত।
ধীরাজ ভট্রাচার্যের বাড়ি:
কেশবপুর হতে ৭কি.মি দুরে পাঁজিয়া গ্রামে অবস্থিত এই ধীরাজ ভট্টাচার্যের বাড়ি।
কালুডাংগা মন্দির:
এই মন্দির দোহাকুলা ইউনিয়নে অবস্থিত।বাঘারপাড়া হতে বালিডাংগা বাজার পৌঁছে তালতলা যেতে হবে। তালতলা হতে বামদিকে ৫০০গজ দূরত্বে কালুডাংগা মন্দির অবস্থিত।বাঘারপাড়া হতে যে কোন যানবাহনে যাওয়া যায়। এখানে রয়েছে মন্দির,পুকুর, বিশাল বিশাল বটগাছ।
চাঁচড়ার মৎস উৎপাদন কেন্দ্র:
চাঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাত্র তিন কিলোঃ মিটার দূরে চাঁচড়ার মৎস উৎপাদন কেন্দ্রটি অবস্থিত। ১০ নং চাঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভ্যান/ইজিবাইক/বাস এ করে যাওয়া যায়।
বেনাপোল স্থল বন্দর:
যশোর থেকে গাড়ী,বাস অথবা অটোতে করে শার্সা উপজেলায় যেতে হয়।শার্শায় বেনাপোল বন্দর অবস্থিত।
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের মাজার:
যশোর বেনাপোল সড়ক থেকে শার্শা উপজেলা থেকে উত্তরের রাস্তা ধরে ডিহি ইউনিয়নের যাওয়ার পরে রিকশা করে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের মাজারে পৌছানো যাবে ।
চাঁচড়া রাজবাড়ী:
চাঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাত্র চার কিলোঃ মিটার দূরে চাঁচড়ার রাজবাড়ী অবস্থিত । ১০ নং চাঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভ্যান/ইজিবাইক/বাস এ করে যাওয়া যায়।
যশোর বোট ক্লাব:
নিউমার্কেট থেকে পালবাড়ি অথবা সরাসরি অটোরিকশা অথবা গাড়ি যোগে যাওয়া যেতে পারে।
বিনোদিয়া ফ্যামিলি পার্ক:
পালবাড়ি মোড় থেকে বোট ক্লাবের দিকে অগ্রসর হলে একই রাস্তায় পাওয়া যায়।
গদখালীর ফুলের বাগান এবং সবজির ক্ষেত:
যশোর শহরের চাচড়া হতে বাসযোগে ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী নামক স্থানে নামলেই গদখালীর ফুল বেচা-কেনা চোখে পড়বে। অসংখ্য ও নানা প্রজাতির ফুল দেখতে পাবেন এখানে।
গদাধরপুর বাওড়:
চৌগাছা উপজেলার সদর হতে ৮ কি.মি দূরে চৌগাছা-মাশিলা সড়কের দক্ষিণ পাশে গদাধারপুর গ্রামে সীমান্তের শূন্য লাইনে অবস্হি
মধুপল্লী:
সড়ক পথে- ঢাকা থেকে ঢাকা-খুলনা জাতীয় মহাসড়কে যশোর অতিক্রম করে রাজার হাট নামক স্থান হতে সাতক্ষীরা রোডে প্রায় ৩৬ কিঃমিঃ কেশবপুর উপজেলা পরিষদ ।পরিষদ হতে কেশবপুর টু সাগরদাঁড়ী প্রায় ১৬ কি:মি: অতিক্রম করে মহাকবি মাইকেল মধুসূধন দত্তের পৈত্রিক জন্ম ভূমি।
উপসংহার :
সুপ্রিয় পাঠকগণ এই ছিল বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীন শহর যশোরের দর্শনীয় স্থানের প্রধান প্রধান স্থানের সৌন্দর্যের ও সেখানে যাওয়ার তথ্য। অবশ্যই ভ্রমন করতে ভুলবেন না সুপ্রিয় পাঠকগণ সুন্দর এই শহরকে।